বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতাদের একমাত্র যোগ্যতা—অসততা ও মিথ্যাচার। আর কর্মীদের যোগ্যতা—তোষামোদ। এক কঠিন সত্য হলো—এই দেশে কোনো নেতা কখনোই অযোগ্য হয় না, দুর্নীতি যতই করুক।
সমস্যা সম্পদ নয়—সমস্যা চরিত্রের, মানসিকতার, আর সৎ মানুষের কণ্ঠরোধের। রাজনৈতিক নেতাদের ওলি-আউলিয়া ভাবার সুযোগ নেই। সভ্য দেশে একটি গুরুতর অপরাধই তাদের রাজনৈতিক জীবনের ইতি টানে। আমাদের দেশে এটিই সবচেয়ে বড় ঘাটতি।
আজও বহু দেশে স্বৈরাচারী শাসন টিকে আছে; পরিবারতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র আরও গাঢ় হয়েছে। শাসন আর শোষণ যেন একই স্রোতে মিশে গেছে। বক্তব্যের স্বাধীনতা প্রতিনিয়ত আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে, ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার পরিণত হয়েছে নিছক প্রহসনে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো সোনার বিপরীতে নিজেদের মুদ্রার মান স্থির করত। কিন্তু যুদ্ধের খরচ মেটাতে গিয়ে সেই সোনার ভাণ্ডার দ্রুত কমে যায়। বিপরীতে আমেরিকার ভাণ্ডারে সোনার মজুত বেড়ে যায় এবং ডলার হয়ে ওঠে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মুদ্রা।
প্রবাসীরা দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে আইনি বিধানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। নানা সময়ে তাদের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চব্বিশ পরবর্তী নতুন নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে এই দাবি বাস্তবায়িত হবে বলে আশা ছিল প্রবাসীদের।
ড্রোন নিয়মিত উড়িয়ে সড়ক, সেতু, স্কুল, হাসপাতালের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা যায়। সময়ভিত্তিক ভিডিও ও জিওট্যাগড ছবির মাধ্যমে তদারকি সংস্থাগুলো সহজেই বুঝতে পারে কাজ সঠিক গতিতে এগোচ্ছে কি না।
দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজি কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠলে নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রমাণভিত্তিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রভাব, দরদাম বা রাজনৈতিক সুবিধার নামে বিচারপ্রক্রিয়া যেন বিকৃত না হয়, সেটিই আজকের বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় দাবি।
বাংলাদেশ আজ এক নতুন সূচনার দোরগোড়ায়। দমন ও বিভাজনের অন্ধ অধ্যায় পেরিয়ে জাতি আজ নতুন আলো দেখছে। কিন্তু এই আলোর পথ সহজ নয়। পরিবর্তনের যাত্রা টেকসই করতে হলে আত্মসমালোচনার সাহস থাকতে হবে—কে কোথায় ভুল করেছে, কেন ভুলের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই হবে।
ষাটের দশক শুধু জেইনের জীবন নয়, বদলে দিল এক পুরো প্রজন্মকে। মানুষ শিখল প্রশ্ন করতে, প্রতিবাদ করতে, আর ভালোবাসতে। সত্যিই, এক নতুন সময়ের জন্ম হয়েছিল।
ওমান রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ভালো ভূমিকা রাখতে পারে তবে দীর্ঘমেয়াদে ওমানে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় হবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণাতেও অবদান রাখতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মজবুত করার জন্য রাজস্ব খাত ও আর্থিক খাতের সংস্কারকে সংহতভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এটি শুধুমাত্র উন্নয়নের জন্য নয় বরং দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যেহেতু জীবনের শুরু ও শেষের নিয়তি আমাদের হাতে নয়, তাই মাঝের সময়টুকুই আমাদের একমাত্র মুক্ত ভূমি, যেখানে মানুষ হতে পারে নিজের সত্য রূপে, নিজের আলোয়। এই মাঝখানের সময়টাই হোক আত্মনির্ভরতার ঋতু, নির্মল আনন্দের স্বপ্ন আর মনের মুক্তির অধ্যায়।
আমেরিকায় স্কুল জীবন থেকেই আমাদের ট্রেনিং দেওয়া হয় যখন তোমাকে কোন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেটাকে সম্পন্ন করার দায়িত্ব তোমার। তুমি কীভাবে করবে, সেটাও তোমার দায়।
স্বাধীনতার পরের বছরগুলোয় দেশটির প্রধান কাজ ছিল— পুনর্গঠন ও স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু রাষ্ট্র যখন ধীরে ধীরে ক্ষমতার কেন্দ্রে বন্দী হয়ে পড়ল, তখন জনগণের কণ্ঠস্বর হারিয়ে গেল প্রশাসনিক কোলাহলে।
এক বিকেলে করিন বসেছিল এক কফি শপে। জানালার বাইরের তুষার গলে পানিতে পরিণত হচ্ছে, আর তার আঙুল কাপের গায়ে স্থির হয়ে আছে অনেকক্ষণ। অপর প্রান্তের মানুষটি নিজের সাফল্যের গল্প বলছে—করিন হালকা হেসে শুনছে, কিন্তু ভেতরে প্রশ্ন জাগে, ‘কেউ কি আজকাল ভালোবাসে, নাকি শুধু নিজেদের প্রমাণ করে?’
মূলত নেতৃত্ব মানে দায়িত্ব, দূরদর্শিতা ও জবাবদিহিতা। একজন নেতা সেই ব্যক্তি যিনি একটি দিকনির্দেশনা স্থির করেন এবং তার ফল বহন করেন। নারীরা প্রতিদিনই এটি করেন—বোর্ডরুম, শ্রেণিকক্ষ, হাসপাতাল, সংসদ কিংবা ঘরে। তবুও তাদের কর্তৃত্বকে প্রায়ই ‘উপহার’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, নেতৃত্ব হিসেবে নয়।
শেষ পর্যন্ত প্লাবন একদিন থেমে গিয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করল—‘যে ভবিষ্যতের জন্য আমি বেঁচে আছি, সেটি কখন আসবে? আমি তো সবসময় ভবিষ্যতের অপেক্ষায় থেকেছি, অথচ আজও সেটি “আগামীকাল”। তাহলে কি আমি আসলে কখনো বাঁচিনি?’
প্রায় ৫৩ বছর ধরে চলা এই ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহসা একটা পরিবর্তনের ঢেউ এসে লেগেছে। আর এটা এসেছে ছাত্র রাজনীতির অঙ্গনে। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে। এই দুই নির্বাচন ছাত্র রাজনীতির লেজুড়বৃত্তির প্রথাগত নির্বাচন ব্যবস্থায় আঘাত হেনেছে। কীভাবে তা সবার জানা।
যারা জনগণের ভোটে সংসদে গেছেন কিংবা রাজনৈতিক কৌশলে ক্ষমতা দখল করেছেন—তাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তই রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। তবু প্রশ্ন জাগে—তারা কি সত্যিই জানেন সংবিধানের অন্তর্নিহিত দর্শন কী? তারা কি বোঝেন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের গভীরতা কতটা?

মূলত নেতৃত্ব মানে দায়িত্ব, দূরদর্শিতা ও জবাবদিহিতা। একজন নেতা সেই ব্যক্তি যিনি একটি দিকনির্দেশনা স্থির করেন এবং তার ফল বহন করেন। নারীরা প্রতিদিনই এটি করেন—বোর্ডরুম, শ্রেণিকক্ষ, হাসপাতাল, সংসদ কিংবা ঘরে। তবুও তাদের কর্তৃত্বকে প্রায়ই ‘উপহার’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, নেতৃত্ব হিসেবে নয়।
২৫ অক্টোবর ২০২৫